বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৪

ইমেজ সংকটে স্বেচ্ছাসেবক দল

''সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবার আগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বুলেটপ্রুফ কমিটি করতে হবে'' সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবার আগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বুলেটপ্রুফ কমিটি করতে হবে । তৃণমূলের নেতা কর্মীরা চায়,যদি সংগঠনের সভাপতি হাবিব উন নবি সোহেল ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক হয় তবে সংগঠনের বর্তমান সাধারন সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু কে সভাপতি এবং বর্তমান সাংগঠনিক সমপাদক ,সাবেক ছাত্রদলের সফল সাধারন সম্পাদক অত্যান্ত মেধাবী নেতা শফিউল বারী বাবুকে সাধারন সম্পাদক ও সংগঠনের ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলী রেজাউর রাহমান রিপন কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি করা হউক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব । তবে সগঠনের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক ইয়াছিন আলী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক হওয়ার জন্য অনেক লবিং তদ্বিরে বেস্ত কিন্তু সংগঠনের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা তাকে পছন্দ করেনা,কারন দলে সে অত্যান্ত বিতর্কিত ব্যক্তি । বিশেষ করে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক হওয়ার পর থেকে তার একনায়কতন্ত্র,স্বজনপ্রীতি আর ঔদ্ধরতপূর্ণ আচরনের জন্য আজ মহানগর উত্তরের বেহাল অবস্থা । যে কোন থানা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নগদ তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ও তার বাসার ফার্নিচার প্রদান করা বাধ্যতামূলক তাছাড়া কেন্দ্রথেকে হরতাল অবরোধ এ যে টাকা আসে তাঁর শতকরা ১০ ভাগ ও সে দলের থানা ওয়ার্ড এর নেতা কর্মীদের দেয়না । বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে প্রায় সময় থানার নেতাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে । থানা ওয়ার্ড এর নেতা কর্মীরা পদ হারানোর ভয়ে কেও তা প্রকাশ করেনা । কয়েক মাস পূর্বে পল্লবীতে সে সোয়া কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট কিনে । অর্ধ শতাধিক মামলা থাকার পরেও কয়েকদিন পর পর সে   লন্ডন,মালেয়েশিয়া,ভারত পুলিশ এবং প্রশাসন কে ম্যানেজ করে ভ্রমন করতে যায় সপরিবারে । পুলিশ এবং প্রশাসনের সাথে রয়েছে তাঁর মধুর সম্পর্ক । হরতাল এবং অবরোধে নিরভিগ্নে সে তার ফ্ল্যাটে থাকে অথচ সবাইকে বলে বেড়ায় সে এলাকাতে থাকেনা । তার ব্যবহারের কারনে অনেক নেতা কর্মী দলে ইনএকটিভ হয়ে গেছে । সংগঠনের থানা ওয়ার্ড এর নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে,যেকোন সময়ে তা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে ।সংগঠনের এক কেন্দ্রীয়নেতা এবং হাওয়াভবনের সাবেক এক কর্মকর্তার সাথে সুসম্পর্কের কারনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পায়না । তারপরেও দলের নেতা কর্মীরা দালাল মুক্ত ,চাটুকার মুক্ত, সুবিধাবাদি মুক্ত,চাঁদাবাজ মুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি চায় অতি দ্রুত।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads